মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার সারাদিন সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও সন্ধ্যার পর ওপারে শুরু হয় গোলাগুলি।থেমে থেমে গোলাগুলি চলে টেকনাফ উপজেলার উনচিপ্রাং সীমান্তের ওপারে। সকালে উখিয়ার পালংখালীর আনজুমান পাড়ায় স্থানীয়রা একটি গ্রেনেড দেখতে পেয়ে খবর দেয় বিজিবিকে। বিকেলের দিকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করেন বিজিবি।
অন্যদিকে ঘুমধুম সীমান্তের নয়াপাড়ায় খেলতে গিয়েও একটি মর্টারশেল দেখতে পান শিশুরা। স্থানীয়রা জানান, ঘুমধুম সীমান্তের নয়াপাড়ায় গোলাগুলির শব্দ না থাকায় খেলতে গিয়ে শিশুরা একটি মর্টারশেল দেখতে পায়। একপর্যায়ে শিশুরা এই মর্টারশেল নিয়ে খেলা করে। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়লে মর্টারশেলের কাছে না যেতে শিশুদের সতর্ক করেন এবং বিজিবিকে খবর দেয়। বিজিবি এসে সেটিও উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে কথা হয় সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশী স্থানীয়দের সাথে। তারা জানায়, গোলাগুলি কমলেও কাটেনি তাদের আতংক। স্থানীয়রা জানান, ‘কাজেকর্মে বের হতে পারছি না। ভয় লাগতেছে খুব বেশি। ঘর ফেলেও চলে যেতে পারছি না। রাতে ও ভোরে গোলাগুলি শুনতে পাই তবে সারাদিন কোন গোলাগুলির শব্দ শুনিনি।
এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া ১০০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যকে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
নতুন করে আজকে বিকেলে উলুবনিয়া সীমান্ত থেকে আরো ২ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে চলে আসে। এ পর্যন্ত ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।